বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বয়কট করা কিংবা জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দেয়া – এর কোনোটাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয়ের বৈধতাকে প্রভাবিত করবে না বলে মনে করছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।
রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি।
তিনি বলেন, কম ভোটার উপস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের (আওয়ামী লীগ) প্রতি অসন্তোষ প্রতিফলিত করে না। এটি বিএনপি এবং অন্য কিছু দলের কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট উদ্বেগেরও প্রতিফলন, যারা সহিংসতা ও জীবনহানি এবং সম্পত্তির ক্ষতি ও অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য পরিচিত।
ভারতীয় সাবেক এ কূটনীতিকের মতে,
এমনটা নয় যে, তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
নির্বাচনের দিনসহ বিএনপির ডাকা দুদিনের হরতাল সত্ত্বেও বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগের অর্থাৎ ২০১৮ সালের নির্বাচনে যা ছিল ৮০ শতাংশ।
রুশ এ গণমাধ্যমের ভাষ্য, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত ছিল এবং ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন সমালোচকরা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া অন্য কারও কাছে তার বৈধতা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
এদিকে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটির জয়ের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে বিবিসি, গার্ডিয়ান, রয়টার্স, আলজাজিরা ও টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয় গণনা। বেসরকারিভাবে পাওয়া ২৯৮ আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৪ আসন।
আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে একটি আসন।
Leave a Reply