ডেস্ক: নানা কারণে আয় কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন চলছে না। নিত্যপণ্যের দামে মানুষ দিশাহারা। কম খেয়ে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষ বাজারে যাওয়ার পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কখনো কখনো দু-একটি পণ্য সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হলেও বাজারে পণ্যের অভাব নেই। অথচ ‘বেচা-কেনা’ কমে গেছে।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন হলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজির পতন হয়নি। সিন্ডিকেট বহাল আছে। চাঁদাবাজির ‘দল’, ‘বস’ বদল হয়েছে, হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। ব্যবস্থা বদল ছাড়া এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের কাছে বাজার ছেড়ে দেওয়া যাবে না। দুর্নীতি মুক্ত, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগ বাড়াতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙা, সর্বত্র চাঁদাবাজি বন্ধ, বাজারে নজরদারি বাড়ানো, রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের বসবাসের জায়গায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করতে হবে। প্রয়োজনে গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের খরচ কমাতে সার, কীটনাশক, পানি, বিদ্যুৎ, ডিজেলের দাম ও পরিবহন খরচ কমাতে হবে। কৃষককে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম ও ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায়’ গড়ে তুলতে হবে।
এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বর্তমান ব্যবস্থায় যারা এ ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে সরকার পরিচালনা করছে তাদের কাছে অনুনয়-বিনয়ে কাজ হবে না।
জনগণের সোচ্চার কণ্ঠই সরকারকে তার দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে পারে।
রশিদ আলি রিকসা চালক প্রতিদিনের আয় দিয়ে চাল কিনলে সবজি কিনতে পারেন না আবার সবজি কিনলে চাল কিনতে পারেন না। আগের চেয়ে বর্তমানে সংসার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি হয়তো কয়দিন পর না খেয়ে মরতে হতে পারে।
Leave a Reply