আজ (১১ই এপ্রিল) দুপুরে শিবালয় থানায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী।
এর আগে রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শিবালয় উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের তুহিনুজ্জামান তপুর ছেলে সামিউল ইসলাম ওরফে সামি (২২) ও ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের পল্লব সরকারের ছেলে তাপস সরকার (১৯)।
আসামীরা এক রাতে ওই কিশোরীকে বিভিন্নস্থানে আটক করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী জানান, গত ২রা মার্চ বিকালে বাড়ি থেকে খালাবাড়ি যাচ্ছিলো ওই স্কুলছাত্রী। শিবালয় উপজেলার টেপড়া এলাকা থেকে তার পূর্ব পরিচিত সামিউল ওরফে সামি ও তার সহযোগী তাপস সরকার জোর করে তাকে রিক্সায় তুলে। এরপর রাতে পৃথকস্থানে আটক করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। ঘটনা কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় শিক্ষার্থীকে।
খালা বাড়ি ফিরে এই ঘটনা শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের জানালে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে পরিবার।
কিন্তু বখাটেরা ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারো নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। দাবি করছিল টাকা ও স্বর্ণালংকারও। এক পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
রবিবার (১০ই এপ্রিল) শিক্ষার্থীর মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। পরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
Leave a Reply