শনিবার (৯ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে ঢাকা, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, গোপাল বাড়ৈ, বরুণ বালা, অটল বাড়ৈ ও প্লাবন বাড়ৈ। তাদের সবার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গত ৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মাদারীপুর র্যাব ক্যম্পের স্কোয়াড্রন লীডার ও কোম্পানী অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, ঢাকা জেলার শাহাবাগ থেকে আসামি গোপাল বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক মাদারীপুর জেলার শিবচর থেকে বরুণ বালা, এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অটল বাড়ৈ ও প্লাবন বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে মার্চ রাতে ভূক্তভোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার পীড়ার বাড়ি মন্দির থেকে গান শুনে মামা বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীর গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতস্থানে একটি দোতলা ভবনে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে ভিকটিমকে নগ্ন করে ভিডিও করে। তারপর আসামিরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং নেশাজাতীয় বস্তু খাইয়ে রাতভর নির্যাতন চালায়।
পরের দিন তারা ভিকটিমকে আসামি গোপালের এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায় এবং টানা তিন দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম জানালা ভেঙে পালিয়ে পাশের রেখা বালার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রেখা বালার মাধ্যমে তার মেয়েকে ফেরত পান বাবা।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ৬ই এপ্রিল কোটালীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
Leave a Reply