প্রবাসীরা বেশির ভাগই ধারদেনা করে মালয়েশিয়ায় এসেছেন।
এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর নিম্নমানের খাবার তাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। তারা যে কোনোভাবে অভিযোগ করবেন, তারও অনেক জায়গায় সুযোগ নেই।
সম্প্রতি একজন বাংলাদেশি সেলাঙ্গোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করার সময় মারা গেছেন। তিনি ছয় মাস ধরে চাকরির খোঁজ করেও পাননি। শফিকুল ইসলাম, যিনি হৃদরোগে মারা গেছেন, তার পাসপোর্টটি কম্পানি আটকে রেখেছিল এবং নিম্নমানের জায়গায় থাকা খাওয়া পরিবেশন করেছিল।
মালয়েশিয়ায় কাজ না পেয়ে অনেক প্রবাসী শ্রমিক তার কম্পানি থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় কাজ খোঁজার চেষ্টায় আছেন। যখন তারা কম্পানি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন তার পাসপোর্টটি কম্পানির কাছেই রয়ে যাচ্ছে। যার ফলে পুলিশ যখন অপারেসি দেয় তখন তারা কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেন না।
মারয়েশিয়াতে অনেক অবৈধ প্রবাসী রয়েছে, যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছে বা এখানে অনেকের ভিসা শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তারা ভিসা রিনিউ করেননি। সরকার অবৈধদের বৈধ করার জন্য আরটিকে-২ ঘোষণা করেছিল কিন্তু অনেকে দাদালের খপ্পরে পড়ে সেটাও করতে পারেননি। এর মধ্যে কাল হয়ে দাড়িঁয়েছে দেরিতে পাসপোর্ট পাওয়া। সময়মতো পাসপোর্ট না পেয়ে অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হয়েছে অনেককেই।
এ ছাড়া হিউম্যান রাইট ওয়াচ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে মারধর ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।। গত ৫ মার্চ ২০২৪ তাদের ওয়েবসাইট প্রকাশিত ‘আমরা সূর্য দেখতে পাই না : মালয়েশিয়ার অভিবাসী এবং শরণার্থীদের নির্বিচারে আটক’ শিরোনামে রিপোর্ট দেশটির স্থানীয় অনলাইনগুলো গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদটি প্রচার করছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন নজিরবিহীন অপারেসি চালিয়েছে। তাতে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ার কারাগারে রয়েছেন। তারা যখন কারাগারে রয়েছেন, তখন তার কোনো আয় নেই, তার পরিবার তার আশায় বসে আছে। তার সাজা শেষ হলেও তাকে দেশে ফিরে আসতে জরিমানা গুনতে হয়। মালয়েশিয়ায় গত বছর থেকে ব্যাপক অপারেসির ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব সময় মানসিক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এর ফলে হৃদরোগ সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। অনেকের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
Leave a Reply