1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হয়তো কয়দিন পর না খেয়ে মরতে হতে পারে। এম.এ গণি ও মিসেস মনোয়ারা খানম ট্রাস্টের বৃত্তি পরীক্ষা ১৯শে অক্টোবর বুঙ্গার চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক সিলেট মহানগর বিএনপির দুই নেতা। শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করলো পর্তুগাল আওয়ামীলীগ সৈয়দ মকবুল হোসেন মাখন মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় নাগরিক কমিটির মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ফখরুল খানের ‘স্পোকেন ইংলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ফুলে ফেপে উঠতেছে কুশিয়ারা, বন্যার শ ঙ্কা পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকায় ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশি প্রভাবশালীরা ছাত্র আন্দোলনের প্রতি তালামীযের সমর্থন অব্যাহত সিলেটে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ, আটক এক

বোরো ফসল পানির নিচে ৩’শ কোটি টাকার ক্ষতি

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৩৪ বার পঠিত

ডেস্কঃ সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরের বাধঁ ভেঙ্গে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৩ ’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ,ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্ল  এই ৫ উপজেলার হাওরের বেশি ক্ষতি হয়েছে। 

উল্লেখযোগ্য হাওর গুলোর মধ্যে দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর ধর্মপাশার চন্দ্র সোনার থাল হাওরে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর, শাল্লার ছায়ার হাওরের সহ জেলার ছোট বড় অন্তত ২০   টি হাওরের ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ৩শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে সরকারী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত আরো অনেক কম। তাদের হিসেব মতে জেলার ১৪টি হাওরের ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, জেলায় ২ লাখ ২২  হাজার ৮০৫ হেক্টর বোরো ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ২২০ মেট্রিক টন ধান। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানান এ পর্যন্ত ২৬০২ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে আরো কাটা হবে। আমরা নির্দেশ দিয়েছি ৮০ ভাগ ধান পাকা হলেই যেন ধান কর্তন করেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরন কেন্দ্রের মতে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই খবরে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর পাড়ের কৃষকদের মাঝে আবার আতংক দেখা দিয়েছে। গত কদিন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাই হাওর পাড়ের কৃষক গণ জমির কাঁচা ও আধা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন ফসল হারানোর ভয়ে। তাদের মতে নিজে না খেতে পারলেও গবাদি পশুর খাদ্য তো যোগাঙ হলো।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লা পাড়া ইউনিয়নের দেখার হাওর পাঙের আব্দুল্লাহ পুরের বাসিন্দা কৃষক মঙ্গল মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে অন্যের কিছু জমি বর্গা চাষ করেছিলাম। আশা ছিল ধান ঘরে তোলে আগামী ঈদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দর ভাবে করব। কিন্ত পানি আসার আতংকে কাঁচা আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, গত কদিন ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজার ও বাধঁ নির্মাণ কাজ সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসি আবার আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হওয়ার খবর দেয়ার সংবাদে শংকায় আছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত কদিন ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং সাধারণ কৃষক মিলে বাধঁ রক্ষার কাজ করে ঝুঁকি মোকাবিলা করি। এ পর্যন্ত যেসব হাওরে বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রণোদনা প্রদান করা হবে। কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, সম্প্রতি পাহাডড় ঢলের কারণে বাধঁ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে সাঙে ১৪ কেজি করে দুই হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ তাহিরপুর ও ধর্ম পাশা দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এর মধ্যে ১১০ মেট্রিক টন চাল ১১টি উপজেলার ইউএনওদের দেওয়া হয়েছে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x