অনলাইন ডেস্ক: পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসকে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগে বেসরকারিভাবে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা আছে। সেগুলো যাতে দ্রুত ছাড়া হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাতারাতি বেড়ে গেছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানও অব্যাহত রাখা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতের ঘোষণার পর হঠাৎ পেঁয়াজের মূল্য এত বেড়ে যাবে তা চিন্তায়ও ছিল না। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে এমনটি করেছেন। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম হঠাৎ এত বেড়ে যাবে, এটা চিন্তা করিনি। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এটা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জোর দিচ্ছি। তবে এজন্য কিছুটা সময় লাগবে।’
কোন কোন দেশ থেকে আমদানি করা হবে? জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর ও চীন। এর মধ্যে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। তবুও চেষ্টা করা হবে। কারণ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনা সহজ হবে, পরিবহনের ক্ষেত্রে।’
Leave a Reply